, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


যোগদান করেই অবসরে ২৪ শিক্ষক-কর্মচারী

  • আপলোড সময় : ২২-০১-২০২৪ ০৪:২৮:২৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২২-০১-২০২৪ ০৪:২৮:২৭ অপরাহ্ন
যোগদান করেই অবসরে ২৪ শিক্ষক-কর্মচারী
চিলমারী(কুড়িগ্রাম)সংবাদদাতা: নব্য সরকারীকৃত এক ডিগ্রী কলেজের ৬৭ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে যোগদান করেই অবসরে গেলেন ২৪জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৫শিক্ষক ও ২কর্মচারী মিলে মোট ৭ জন। ৬৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী সরকারী হলেও ৪৩ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়ে যাত্রা শুরু করবে ওই কলেজ। ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলাধীন চিলমারী ডিগ্রী কলেজে।

জানা গেছে,উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত চিলমারী ডিগ্রী কলেজ যা ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে অদ্যাবধি শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।উপজেলা ভিত্তিক একটি কলেজ জাতীয় করণের লক্ষ্যে কলেজ টিকে ২০১৮সালের ৮ আগষ্ট তারিখ থেকে সরকারীকৃত হিসাবে প্রজ্ঞাপন জারী করা হয়।

প্রজ্ঞাপনের আলোকে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর প্রতিষ্ঠানটি ৪৮ জন নন-ক্যাডার শিক্ষক ও ১৯ জন কর্মচারী মিলে মোট ৬৭জনের জন্য গত ৪জানুয়ারী তারিখে নিয়োগপত্র ইস্যু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর(মাউশি)। এদের মধ্যে জীবিত আছেন ৬০শিক্ষক-কর্মচারী। সে মোতাবেক গত ১০ জানুয়ারী তারিখে কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে যোগদান করেন মো.আব্দুল মোত্তালেব। পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে বাকী ৫৯জন শিক্ষক-কর্মচারী তাদের স্ব-স্ব যোগদান পত্র দাখিল করার কথা। ফলে ৬৭জন শিক্ষক-কর্মচারী সরকারী হলেও ৪৩জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়ে যাত্রা শুরু করবে ওই কলেজটি।

সরেজমিনে, চিলমারী সরকারী কলেজে জানা-গেছে,নব্য সরকারীকৃত প্রতিষ্ঠানটির জন্য ৪৮ জন শিক্ষক(নন-ক্যাডার) ও ১৯ জন কর্মচারী(প্রদর্শকসহ) মিলে মোট ৬৭ জন শিক্ষক কর্মচারীর নামে নিয়োগ পত্র ইস্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২০জন শিক্ষক(জীবিত ১৫,মৃত ৫) ও ৪ জন কর্মচারী(জীবিত ২,মৃত ২) মিলে মোট ২৪ জন শিক্ষক-কর্মচারী যোগদান করেই অবসরে যান। ৮ আগষ্ট ২০১৮ তারিখ থেকে সরকারী করণের ঘোষণা থাকায় ওই তারিখের পরে অবসরে যাওয়া এবং মৃত ২৪ শিক্ষক-কর্মচারী আনুপাতিক হারে সরকারী সুবিধা পাবেন বলে জানা গেছে। ফলে নব্য সরকারীকৃত ওই কলেজটি মাত্র ২৮ জন শিক্ষক ও ১৫ জন কর্মচারী নিয়ে উপজেলার একমাত্র সরকারী ডিগ্রী কলেজ হিসাবে যাত্রা শুরু করে। এত বড় একটি কলেজ মাত্র ৪৩ জন শিক্ষক-কর্মচারী দিয়ে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনায় বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে সচেতন মহলের ধারনা। 

কলেজের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক মো.জিয়াউর রহমান জুয়েল জানান, এক যুগেরও বেশী সময় ধরে এমপিওভূক্ত শিক্ষক হিসাবে এই কলেজে পাঠদান করাচ্ছি। এখন থেকে প্রতিষ্ঠান এবং আমরা সরকারী চাকুরীজীবি হওয়ায় সকলে আনন্দিত। প্রতিষ্ঠানটি সরকারী হওয়ায় এলাকার শিক্ষা ক্ষেত্রে এটি আরও বেশী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আসা করছি।

চিলমারী সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো.আব্দুল মোত্তালেব জানান, সরকারী করনের নিয়মানুযায়ী গত ১০জানুয়ারী তারিখে তিনি মন্ত্রণালয়ে গিয়ে যোগদান করেছেন।বাকী শিক্ষক-কর্মচারীতে যোগদান প্রত্র গ্রহণ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর দায়িত্ব তার। এখন পর্যন্ত সকলের যোগদান পত্র জমা হয়নি।যোগদান পত্র সমূহ পেলে আনুষঙ্গিক কার্যাবলী সম্পন্ন করে ডিজি অফিসে জমা প্রদানের কথা জানান তিনি।